বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে থাকার জন্য ইংল্যান্ড গেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। একই সঙ্গে সেখানে তিনি অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন।
বুধবার (১১ মে) সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মে তিনি ইংল্যান্ডে গেছেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পরেই তিনি ছুটি চেয়ে আবেদন করে। ওই ছুটির মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ওই ছুটি শেষ না হতেই ফের ছুটি চান বিচারপতি ইমান আলী।
চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি চেয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে দরখাস্ত জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ ইমান আলী। গত ২৮ মার্চ এ দরখাস্ত পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছেও। দরখাস্তে তিনি উল্লেখ করেছেন, বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনে থাকবেন। পাশাপাশি আবেদনে বলা হয়, অর্জিত ছুটি থেকেই তিনি এ ছুটি কাটাতে চান।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ দেওয়ার পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর থেকে ছুটিতে যান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। তবে এ তথ্য সবার কাছে অজানা ছিল। এর পরেই জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ২ জানুয়ারি (কজলিস্টে) কারর্যতালিকায় অর্থাৎ জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ইমান আলীর নাম নেই রোববারের কার্যতালিকায়। এরই মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর খবর আসে ছুটিতে গেলেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।
বিচারপতির চাকরিবিধি অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গত এক দশকে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগে সুপারসিডের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি ছুটিতে যান। তারা হলেন- বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান।
একইভাবে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ দেওয়া হলে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া পদত্যাগ করেন।
সংবিধান অনুসারে, বিচারপতির পদের মেয়াদ ৬৭ বছর পর্যন্ত। বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী অবসরে যাবেন ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এছাড়া প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ২০২৩ সালের ৩০ জুন এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০২৬ সালের ১০ জানুয়ারি অবসরে যাবেন।