আজ বাদে কাল ঈদ। ঈদের একদিন আগেই রাজশাহী নগরীতে জমেছে ঈদ বাজার। নগরীতে বাজার ঘুরে দেখা গেছে মিষ্টির দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের চাহিদা মিটিয়ে মিষ্টি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা।
সোমবার (২ মে) রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজারের রসমেলা, নবরূপ, মিষ্টান্ন ভান্ডার, শিবগঞ্জ সুইটসসহ অন্যান্য মিষ্টির দোকান ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের দুদিন আগে থেকে বিক্রির চাপ বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্রেতার চাহিদা সাদামিষ্টি, কালোজাম, চমচম, রসগোল্লা, খির চমচম ও স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানা মিষ্টি। তবে অভিজাত ক্রেতারা কিনছেন রসগোল্লা, ছানার মিষ্টিসহ বাহারি মিষ্টি।
প্রায় সব ক্রেতাই মিষ্টির পাশাপাশি দই কিনতে ভুলছেন না। যে কারণে বাজারে মিষ্টিসহ দইয়ের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। তবে ছোট দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত মিষ্টি থাকলেও সেখানে ক্রেতাদের ভিড় কম দেখা গেছে।

ছেলেকে নিয়ে দই নিতে এসেছেন আক্তারুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগামীকাল ঈদ। পরিবারের জন্য দেই নিতে এসেছি। কিন্তু ভিড় অনেক বেশি।’
আহসান কবির নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রতি বছর এ দোকান (নবরূপ) থেকেই মিষ্টি কিনি। কিন্তু আজকের মতো এত ভিড় আগে কখনো দেখিনি।’

নগরীর হাদিরমোড় এলাকার বাসিন্দা জুলেখা। আধাঘণ্টা ধরে মিষ্টির দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনেকক্ষণ হয়ে গেলো দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু তারা দই দিতে পারছে না। বলছে একটু দাঁড়ান, দই চলে আসবে।’
নবরূপের স্বত্বাধিকারী মদন কুমার ঘোষ। প্রায় ১৫ জন কর্মচারী নিয়ে চলছে তার মিষ্টির দোকান। তারপরও ক্রেতার চাপ সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

মদন কুমার ঘোষ বলেন, ‘আজ বাদে কাল ঈদ। তাই ক্রেতাদের চাপ বেশি। তার ওপর আবার দুধের সাপ্লাই নেই। তাই অনেক চাপ।’
রাজশাহীর রসমেলার মালিক পরিমল কুমার ঘোষ মিঠু। নগরীতের রেলগেট, উপশহর নিউ মার্কেট ও সাহেব বাজারে রয়েছে চারটি দোকান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে আমাদের কারিগররা দিনরাত মিষ্টি বানাচ্ছেন। তবে সমস্যা হয়েছে পর্যাপ্ত দুধ মিলছে না। গত তিন চারদিন আগ থেকেই দুধের দাম ৬০ টাকার জায়গায় ৯০ থেকে ১০০ টাকা লিটার কিনতে হচ্ছে। কিন্তু মিষ্টির দাম আগের মতোই নেওয়া হচ্ছে।’